পেয়ারার পোকা মাকড় দমন

 হোয়াইট ফ্লাই বা সাদা মাছি

 
সাদা মাছি পোকা পাতার নিচের দিকে আক্রমণ করে রস চুষে খায়। এর ফলে পাতায় সুটিমোল্ড ছত্রাক জন্মে এবং পাতা ঝরে যায়।

সাদা মাছি দমন
সাদা মাছি দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে পাঁচ গ্রাম ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে গাছে স্প্রে করা।

ফল ছিদ্রকারী পোকা

 

ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হলে ফলের গায়ে কোথাও না কোথাও ছিদ্র হয়, ফল বিকৃত হয়ে যায়, ছিদ্রের মুখ দিয়ে পোকার মল পড়তে থাকে। কিন্তু ফলের মাছি পোকা আক্রমণ করলে গায়ে কোনো ছিদ্র হয় না, ফলও বিকৃত হয় না, রঙও ঠিক থাকে। শুধু ভেতরটা নষ্ট হয়ে যায়।

ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন
ম্যালথিয়ন ৫৭-ইসি বা ফেনিট্রথিয়ন প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলিলিটার পরিমাণ মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে। গাছের নিচে ঝরে পড়া কোনো ফল রাখা চলবে না।

 মিলিবাগ বা ছাতরা পোকা

 

এ দেশের অধিকাংশ পেয়ারা গাছেই ছাতরা পোকা দেখা যায়। আক্রান্ত ডাল বা পাতায় এরা দল বেঁধে আঁকড়ে থাকে। সাদা রংয়ের এ পোকাগুলিকে দেখতে অনেকটা সাদা ছাতা বা তুলার মত দেখায়। এরা কচি পাতা, বিটপ, প্রশাখা এমনকি ফুল থেকেও রস চুষে খেতে থাকে। ফলে আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায় এবং ফলন হ্রাস পায়।

ছাতরা পোকা দমন
যদি আক্রমণের মাত্রা কম থাকে তবে আক্রান্ত অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলা ভাল। আক্রান্ত হলে ২০ মিলি ম্যালথিয়ন ৫৭ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 দয়ে পোকা (ডরসিকা ম্যাঙ্গিফেরা ও প্ল্যানোকাক্কাস সিট্রি)

 

দয়ে পোকার পূর্ণাঙ্গ ও অপূর্ণাঙ্গ দশা গাছের সবুজ অংশের রস শোষণ করে এবং সাদা আঁশের মতো আচ্ছাদন সৃষ্টি করে। দয়ে পোকা আক্রান্ত গাছের অংশ শুকিয়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী পোকা এপ্রিল-মে মাসে গাছ থেকে নেমে মাটিতে ডিম পাড়ে ও ডিসেম্বর পর্যন্ত মাটিতেই থাকে।

দয়ে পোকা দমন
নিয়মিত বাগান পরিষ্কার রাখা ও আগাছামুক্ত রাখা। গ্রীষ্মকালীন চাষ দেওয়া, এতে রোদের তাপে মাটিতে অবস্থিত ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও খুব বেশি আক্রমণ দেখা দিলে কীটনাশক যেমন অ্যাসিফেট ৭৫% ডব্লুপি (০.৭৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে) অথবা ডাইমিথোয়েট ৩০% ইসি (২ মিলি প্রতি লিটার জলে) স্প্রে করতে হবে।

 তথ্যের উৎসঃ ইন্টারনেট

Related Posts

0 Comments: