১। ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়।
২। এতে পাতায় গোলাকার হলুদ কিনারা যুক্ত দাগ দেখা যায়, যা ক্রমেই বড় হয়ে সমগ্র পাতা ও কান্ডে ছড়িয়ে পড়ে ।
ব্যবস্থাপনাঃ
১। আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
২। এ রোগ দেখা দিয়ে ক্যালিক্সিন ১মিলি বা টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
সাবধানতাঃ
১। ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
করনীয়ঃ
১। রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ করা , নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন।
২। ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
লক্ষণঃ
১। এ রোগের করণে পাতার উপরে হলদে রেখা বেষ্টিত বাদামী রংয়ের গালাকার দাগ সৃষ্টি হয় ।২। দাগগুলো ক্রমেই বড় হয় এবং ছড়িয়ে পড়ে দাগগুলো গাঢ় বাদামী হতে হালচে বর্ণের হয় ।
৩। ধীরে ধীরে পাতা ঝরে যায় ।
ব্যবস্থাপনাঃ
১। আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলা ।২। রোগ সহনশীল জাতের চাষ করা ।
৩। ফসল কাটার পর আগাছা পুড়ে ফেলা ।
৪। রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যাভিষ্টিন/নোইন বা ২গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ মিশিয়ে ১২-১৫ দিন পর ২-৩ বার স্প্রে করা ।
সাবধানতাঃ
১। ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।করনীয়ঃ
১। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন। ২। ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন।লক্ষণঃ
- বয়স্ক গাছেই এ রোগের আক্রমণ বেশী হয়।
- পাতার নিচের দিকে প্রথমে মরিচা পড়ার ন্যায় সামন্য উঁচু বিন্দুর মত দাগ দেখা যায়।
- দাগ ধীরে ধীরে বড় হয়।
- আক্রমণ বেশী হলে পাতার উপরের পিঠে এ রোগ দেখা যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
- রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ করা।
- আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা।
- ফসল কাটার পর পরিত্যক্ত গাছ, আগাছা বা নাড়া পুড়ে ফেলা।
- এ রোগ দেখা দিলে ক্যালিক্সিন ১ মিলি বা টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
- বাদামের মরিচা রোগ প্রতিরোধের জন্য অটোস্টিন ১ গ্রাম অথবা কন্টাফ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩ বার স্প্রে করা।
লক্ষণঃ
- ছোট গাছ হঠাৎ মরে যেতে দেখা যায়।
- অনেক সময় পাতা সবুজ থাকে।
- বড় গাছের ক্ষেত্রে পাতাগুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
- আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন ।
- অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে কুপ্রভিট ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
- আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
- নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন।
- ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন।
- কয়েকবার দানাদার ফসলের চাষ করে পরবর্তীতে চীনাবাদাম চাষ করুন।
চীনাবাদামের গোড়া পচা রোগ -Foot Rot of Groundnut (Sclerotium rolfsii) ছত্রাকজনিত রোগ।
লক্ষণঃ
- গাছের বৃদ্ধির যে কোন অবস্থায় এ রোগ দেখা দিতে পারে। সাধারণত গাছের যে সকল অংশ মাটির কাছাকাছি বা নিচে থাকে সে অংশসমূহ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
- আক্রান্ত অংশে গাঢ় বাদামী হতে কালো দাগের সৃষ্টি হয়।
- আক্রান্ত গাছের গোড়ায় বা মাটিতে ছত্রাকের সাদা মাইসেলিয়াম এবং সরিষার দানার মত ছত্রাক গুটিকা (স্কেলেরোশিয়া) লক্ষ্য করা যায়।
- এ রোগের কারণে গাছের প্রধান শিকড় আক্রান্ত হলে গাছ সম্পূর্ণ ঢরে পড়ে এবং পরবর্তীতে খাদ্য ও পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার কারণে গাছ মরে যায়।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
- বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পূর্বে মুরগির বিষ্ঠা ৫ টন/হেক্টর বা সরিষার খৈল ১ টন/হেক্টর হারে জমিতে প্রয়োগ করা।
- প্রোভেক্স ২০০ ছাত্রক নাশক (২.৫ গ্রাম/কেজি বীজ) দ্বারা বীজ শোধন করে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বপন করা।
- এছাড়াও বীজ বপনের পূর্বে প্রোভেক্স (২.০ গ্রাম/লিটার) মাটিতে প্রওয়োগ সহ বীজ তলায় বীজ বপন করা।
Source: কৃষি বাতায়ন
0 Comments: